Saturday, 28 June, 2025
Logo

১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে "বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি"

অনলাইন ডেস্কঃ

Published: / Times Read


ছবি - সংগৃহীত

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকদের সরকারের কাছে জিম্মিদশায় থাকতে হয়। ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের দায়িত্বপালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকা কেন অসাংবিধানিক হবে না, বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানিতে এসব কথা বলেন শিশির মনির।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের দায়িত্বপালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকা কেন অসাংবিধানিক হবে না।

তিনি বলেন, ‘বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। রাতে কোর্ট বসিয়ে বিচারকদের সাজা দিতে বাধ্য করার ঘটনা ঘটেছে। সরকারের পছন্দমতো আদেশ না দেওয়ার কারণে আদেশের পরদিন বিচারককে বান্দরবানে পাঠানো হয়েছে। অনেক বিচারককে এ কারণে চোখের পানি ফেলতে দেখেছি। এই অনুচ্ছেদের কারণে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয়ের স্বপ্ন স্থবির হয়ে রয়েছে।’

এই অনুচ্ছেদ সরিয়ে বা বাদ দেওয়া হলে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের স্বপ্ন পূরণ হবে বলেও মন্তব্য করেন এ আইনজীবী।

আজ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রুলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের দায়িত্বপালনরত ম্যাজি স্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকা কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দা সাজিয়া শারমিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তামিম খান।

Share

More News


Most Read